আপনি ক্যারিয়ার চয়েস কিভাবে করবেন:
‘কর্ম দিশারী’ গাইড ।
একটি জটিল প্রশ্ন সহজ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। ছোটো বেলা থেকেই আমাদের একটা বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়ে যায়,লেখাপড়া শিখে সরকারী চাকরী করা মানেই সফল Career । আপনি ক্যারিয়ার চয়েস কিভাবে করবেন সে বিষয়ে সঠিক পরামর্শ সেভাবে ঠিক কেউই দিতে পারেনা। ফলে একটা সময় আপনি চাকুরীর সন্ধানে ঘুরে ঘুরে নিজেই দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে খুব যথাযত একটি ক্যারিয়ার নির্বাচন করতে পারবেন।
১.নিজেকে মূল্যায়ন করুন:
সঠিক কর্মজীবন বেছে নেওয়ার আগে আপনাকেঅবশ্যই নিজের সম্পর্কে শিখতে হবে। আপনার মান ,দক্ষতা , এবং অনুভূতি , আপনার ব্যক্তিত্বের ধরন অনুসারে , কোন পেশা আপনার এবং কোন পেশা সম্পূর্ণরূপে অনুপযুক্ত জন্য উপযুক্ত তা বিশ্লেষণ করা।
আপনার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য স্ব-মূল্যায়ন সরঞ্জামগুলি , যা প্রায়ই ক্যারিয়ার পরীক্ষারনামে পরিচিত হয়, ব্যবহার করুন এবং পরবর্তীতে তাদের উপর ভিত্তি করে একটি উপযুক্ত উপযুক্ত পেশার তালিকা তৈরি করুন।
২.ভাবনাটা মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিকের পর থেকেই মাথায় আনুন:
ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শুরু করা উচিত মাধ্যমিক বা তার পর থেকে।পেশার তালিকা থেকে আপনার যে কাজ গুলিতে আগ্রহ আছে তা থেকে চারটি বেছে নিন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করুন। তারপর তা থেকে একটিকে বেছে নিয়ে লেগে পড়ুন পূর্ণ শক্তি দিয়ে। এটা জানার জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটে বিভিন্ন খবর, প্রতিবেদন পড়তে হবে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণগুলো খুঁজে পড়তে হবে।
৩.নিজেকে দেশের সমস্যা নয়, সম্পদ হিসেবে তুলে ধরুন।
আত্ম-বিশ্লেষণ করুণ। নিজের জীবন নিজেকেই গড়তে হবে,সম্পুর্ণ পরনির্ভরতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে শিখতে হলে,এবং মানসিক শক্তি সঞ্চয় করতে হলে বিভিন্ন মনিষীদের রচনাবলী সময় পেলে পড়া উচিত। আমি পারি এবং পারবো,এই মনোভাবে এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষাজীবনে আমাদেরকে খুব কমই জানানো হয় যে ক্যারিয়ার মাত্রই চাকরি নয়।তাই বিকল্প ক্যারিয়ার গুলি সম্পর্কেও জানতে হবে।
৪.বিকল্প ক্যারিয়ার যা আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে:
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার এসব ছাড়াও ইদানীং কিছু ক্যারিয়ার পথ তৈরি হয়েছে, যাতে অনেকেই সফল হচ্ছে। যেমন ফটোগ্রাফি, ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, মেক-আপ আর্টিস্ট, স্টাইলিস্ট, ক্যারিয়ার গ্রুমিং, কর্পোরেট ট্রেইনার, পাবলিক স্পিকার, ফ্যাশন ডিজাইনিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ফিল্ম মেকিং, ইউটিউবিং, ব্লগিং ইত্যাদি। এসব বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার খুব একটা সুযোগ আমাদেরদেশে নেই, তবে এসব বিষয়ে তাত্ত্বিক শিক্ষার চেয়েও ব্যবহারিক বা প্র্যাকটিকালি শেখার প্রয়োজন খুব বেশি হয়। এগুলো ও আমাদের দেশে জনপ্রিয় পেশা হয়ে উঠছে ।
৫.কী ভাল লাগে:
ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার পর ‘কাজ ভাল লাগে না’ রোগে ভুগতে না চাইলে প্রথমেই ভাবা উচিত কি ভাল লাগে। ভাবুন কি এমন কাজ যা করতে ভাল লাগে, যা করতে গিয়ে মনে হয়না কাজ করছেন। এবং দেখুন সে কাজটা আসলে সিরিয়াস ক্যারিয়ার হিসেবে করা যায় কিনা, বা এটা প্রচলিত কিনা। ধরুন আপনি আঁকতে পছন্দ করেন। খুব ভাল আঁকেন। তাহলে আপনার জন্য ফ্যাশন ডিজাইনিং বা অন্যান্য ডিজাইনিং এর ক্যারিয়ার ভাল হবে। আবার ধরুন আপনি লেখালেখি ভালবাসেন, তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য লেখালেখি করতে হয় এমন কাজ যেমন সংবাদপত্রে চাকরি ভাল হবে। ভুলেও অপছন্দের কোন কাজকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিবেন না, তাহলে ক্যারিয়ার বোঝা বনে যাবে।
৬. কর্মদিশারী অনলাইন ক্যারিয়ার গাইড:
আমাদের প্রচেষ্টা কিছু অপ্রচলিত অনলাইন ক্যারিয়ার সম্পর্কে আপনাদের সঠিক দিশা দেখানো, তাই নিয়মিত আমাদের এই ওয়েব সাইট ভিজিট করুন এবং ইমেইল এ নোটিফিকেশন পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
By:Rabindranath Pathak
By:Rabindranath Pathak