মাধ্যমিকের পর অনেক পরিকল্পনা থাকে, আর থাকে অনেক আশা। কারুর ট্রেন চলে লাইন ধরে তো কারুর লাইনচ্যুত হয় ট্রেন। কারুর আবার এক্সপ্রেস গতি তো কেউ লোকাল ট্রেন। হয়তো সিগন্যাল না পেয়ে মালগাড়ীর মতো মাঝেমধ্যে থমকে যেতে হলেও গন্তব্য একটা অবশ্যই আছে বা গন্তব্য করে নিতে হয়। হ্যাঁ, সেই গন্তব্যে পৌঁছানো অর্থাৎ একটা সিগনেচার মুভমেন্টের জন্য আসলের সাথে বিকল্প স্ট্র্যাটেজি গুলোও বুঝে নিতে হয়।
এবার আসা যাক উচ্চমাধ্যমিকের পর কী কী পড়া যায়, তার যোগ্যতা কী, কী কী পরীক্ষা দেওয়া যায়, কারা নেয়, বিভিন্ন কোর্সের সুযোগ কেমন, চাকরীই বা কী অপেক্ষা করে আছে!
১.সাধারণ_ডিগ্রীকোর্স
এক্ষেত্রে কলেজ বা ইউনিভার্সিটি নয় কোন ডিপার্টমেন্ট কোথায় ভালো তা দেখেই ভর্তি হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ! আমি যেমন নরেন্দ্রপুরে ম্যাথে ভর্তি হইনি!
তবে এক্ষেত্রে বেলুড়, যাদবপুর অবশ্যই অগ্রগণ্য। বাকীদের মধ্যে মেদিনীপুর কলেজ,বাঁকুড়া খ্রিষ্টান কলেজ, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ প্রভৃতি অগ্রগণ্য কলেজ।
স্বশাসিত যেকোন কলেজকেই কিন্তু অটোমেটিক চয়েস করা উচিত।
তবে ফিজিক্সের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটিকে প্রেফার করতে বারণ করবো যদি উচ্চাশা থাকে!
দিল্লী ইউনিভার্সিটির কলেজগুলো কিন্তু দুর্দান্ত। পকেটের রেস্ত থাকলে ও কাছে-দূরের আবেগ নিরসন করতে পারলে সন্তানকে ওখানে পাঠাতে পারেন।
এগুলো যেহেতু প্রফেশনাল কোর্স নয় তাই পড়লেই চাকরী পাওয়া যায়না। কিন্তু চাকরীর জন্য অনেক শূন্যপদের সাথে সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অনেক বেশি হয়।
মাথার এলেম থাকলে স্ট্যাটিস্টিক নিয়ে ভালো কলেজে পড়লে ভবিষ্যত কিন্তু বেশ ঝকঝকে।
তবে সাধারণ গ্র্যাজুয়েটরা কিন্তু আমলা হতেই পারেন। এক্ষেত্রে কৌটিল্য সহ দিল্লীর বিভিন্ন বিখ্যাত কোচিং সেন্টার তাদের ট্রেনিদের ওপেনে ভর্তি করিয়ে সময় ও শ্রম সাশ্রয় করিয়ে “আমলা জুস” বেশি করে গিলিয়ে দেয়! ফলে……!
এর মধ্যে জিওলজি পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর ইউনিভার্সিটি, আশুতোষ কলেজ ও যোগমায়া দেবী প্রভৃতি কলেজে পড়ানো হয়। বাইরের রাজ্যে বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ,উত্তরাখন্ড,মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব এন্ট্রান্সের মাধ্যমে ভর্তি করানো হয়। যদিও ISM(IIT) ধানবাদ সেরা এবিষয়ে। সরকারী ও PSU এর গ্ল্যামারাস চাকরীর ক্ষেত্রে জিওলজি দারুণ একটা বিষয়।
এছাড়া ফরেন্সিক সায়েন্স,ক্রিমিনোলজি,সাইবার সিক্যুউরিটি নিয়েও গ্র্যাজুয়েশন করা যায়। যদিও ফরেন্সিক সায়েন্সের সুযোগ বেশ বেশি পড়ানো আপাতত পশ্চিমবঙ্গের কোথাও হয়না। তবে সিটও খুব অল্প আর এর চল M.Sc তেই বেশি। বি.এস.সি তে কেউ চান্স পেলে আমি তাকে লুফে নিতেই বলবো।
বাড়ির পাশেই আছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,শ্রীনিকেতন (কেনাকাটার আনন্দ নিকেতন নয় মোটেই!)।
কিছুক্ষেত্রে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। এক্ষেত্রে Indian Council of Agricultural Research (ICAR) -এর ICAR-AIEEA অগ্রগণ্য। যার দ্বারা ১৫% সিট বিভিন্ন Agriculture ইউনিভার্সিটির ব্যাচেলর ডিগ্রীতে পূরণ করা হয় আর ICAR এর ডিমড ইউনিভার্সিটির ১০০% সিট পূরণ করা হয়।
এছাড়াও EAMCET (অন্ধ্রপ্রদেশ) ,PAUEE(পাঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি ,KEAM(কেরালা),IGKV-CET(ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)।
এগ্রিকালচারের ডিগ্রীধারীদের উচ্চশিক্ষা ছাড়াও কাজেরও দারুণ সুযোগ। বিভিন্ন সরকারী পদ, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সাব্জেক্ট ম্যাটার স্পেশালিষ্ট, AIIMA -র বিভিন্ন JSA ও SSA পোষ্টেও প্রতিবছর অনেক সংখ্যক পদে নিয়োগ করা হয়।
আইনের জন্য CLAT,LSAT,AILET,LET প্রবেশিকা ছাড়াও অনেক বেসরকারি ক্ষেত্রে টাকার জোরেই করা যায় আইন ব্যবসার তাত্ত্বিক পাঠ।
F.কিছু ডিগ্রী ও কিছু কথা:
আবার NISER তাদের ইন্টিগ্রেটেড কোর্সের (Ph.D.পর্যন্ত)জন্য NEST পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নেয়।
আবার ইন্টিগ্রেটেড কোর্সের জন্য KVPY,JEE-Advanced ছাড়াও রাজ্য বা সেন্ট্রাল বোর্ডের স্টুডেন্টদের জন্য IISER Aptitude Test (IAT) -এর মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভর্তি নেয়!
২.মেডিক্যাল:
নীচের দিকের র্যাঙ্ক করলে BDS অপেক্ষা করে থাকে। তবে আজকাল MBBS ডাক্তারের তুলনায় একজন BDS ডাক্তারের ফিজ মোটেই কম নয় কিন্তু!
NEET এর র্যাঙ্কের উপর ভিত্তি করে
BHMS (Bachelor of Homeopathic Medicine and Surgery),
B.A.M.S. (Bachelor of Ayurvedic Medicine & Surgery)
B.U.M.S. (Bachelor of Unani Medicine & Surgery) কোর্সেও ভর্তি করা হবে।
B.P.T (Bachelor of Physiotherapy)
B.A.S.L.P. (Bachelor of Audiology and Speech Language Pathology)
B.M.L.T (Bachelor of Medical Laboratory Technician)
তবে সর্বভারতীয় স্তরে বিভিন্ন ভেটেরিনারি কলেজে ১৫% সিট(434 টি ও জম্মু এবং কাশ্মীর বাদে) সংরক্ষিত আছে AIPVT এর জন্য। আসলে AIPVT তে কোন আলাদা পরীক্ষা হয়ই না! এরা NEET এর র্যাঙ্ক থেকেই কাউন্সেলিং করায়।
B.Sc Nursing & GNM
B.Sc in Clinical Optometry
B.Sc in Health Information Management
B.Sc in Medical Imaging Technology, BSc Radiography,
(B.Sc MRIT)
B.Sc in Operation Theatre Technology
B.Sc in Nutrition & Dietetics, BSc Home Science
B.Sc in Radiotherapy Technology
B.Sc in Audiology,Bachelor of Audiology & Speech Language Pathology (BASLP)
B.Sc in MLT or BMLT
B.Sc in Occupational therapy (BOT)
B.Sc in Anesthesia Technology
B.Sc in Nuclear Medicine
B.Sc in Physician Assistant
B.Sc in Respiratory care
Diploma in Medical Lab Technology (DLMT)
এগুলোর মধ্যে কতকগুলি মেডিকেল কলেজে পড়ানো হয় আবার কিছু কোর্স প্যারামেডিকেল কলেজেও পড়ানো হয়। আবার কিছু কোর্স ডিগ্রী কলেজে পড়ানো হয়।
BSc_নার্সিং-
পশ্চিমবঙ্গে যেমন শুধুমাত্র মেয়েরা এই কোর্স JENPAUH দিয়ে করতে পারে ঠিক তেমনি আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়,বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়,AFMC, সিএমসি-ভেলোর সহ অন্য অনেক জায়গায় নিজেরা প্রবেশিকা নিয়ে ভর্তি নেয়। আর বেসরকারি মানেই তো গান্ধীছাপ!
না, কেউ এই কোর্স করে বসে থাকেনা! এর পর এমএসসি করে নিলেই তো টিচিং পোস্ট বাঁধা।
বি.এস.সি -নার্সিং-এর বিভিন্ন কোর্সগুলি হ’ল-
O.T. Techniques
Ophthalmic Nursing
Leprosy Nursing
TB Nursing
Psychiatric Nursing
Neurological and Neuro surgical Nursing
Community Health Nursing
Cancer Nursing
Orthopedic Nursing
নারী পুরুষ উভয়েই এই কোর্স করতে পারেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ছেলেরাও পারে এই কোর্স করতে।
পশ্চিমবঙ্গে ছেলেদের জন্য ৮০ টা সিট আছে আর ছেলেদের পড়ানো হয় অশোকনগর ও বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে!
আর্টস বা সায়েন্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ আর ভোকেশনালের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র NIOS -এর Health Care Science কোর্সটি করা থাকলে আবেদন করা যায়।
নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্যারামেডিক্যাল…
F. B_Pharm_
চারবছরের এই কোর্সে ভর্তির জন্য ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি, বায়োলজি নিয়ে ৫০% নম্বর সহ উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে বা D_Pharm থাকতে হবে।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে Graduate Pharmacy Aptitude Test (GPAT) পরীক্ষা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য আলাদাভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয়। এছাড়া বেসরকারি অনেক কলেজ তো আছেই। পশ্চিমবঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আর বেসরকারি ক্ষেত্রে দুর্গাপুরের B.C.Roy কলেজ অফ ফার্মেসি অগ্রগণ্য!
৩.Engineering_Architecture :
ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি,ম্যাথ নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশেরা B.Tech,B.E,B.Arch কোর্সে ভর্তির জন্য যোগ্য!
যাইহোক কোর্সগুলি দেখে নেওয়া যাক।
CSE
IT
ECE
EEE
Civil
Chemical
Mechanical
Aeronautical
Aerospace
Agriculture
Automobile
Bio-medical
Bio-technology
Ceramic
Industrial
Environmental
Marine
Mining
Silk & Textile
Dairy Technology
JEE Main & Advanced -এর মাধ্যমে যথাক্রমে NIT বা IIEsT(শিবপুর) ও IIT তে বা বেসরকারি কিছু কলেজ/ইউনিভার্সিটিতে , State JEE(আমাদের WBJEE) এর মাধ্যে রাজ্যের সরকারী বা বেসরকারি কলেজে ভর্তি নেওয়া হয়। NIT তিরুচিরাপল্লী বেশ ভালো।
আবার BITSAT এর মাধ্যমে BIT -এর মেসরা(রাঁচি) বা পিলানি(রাজস্থান) ক্যাম্পাসে ভর্তি নেওয়া হয়। এখানে চান্স পেলে ও পকেটের রেস্ত থাকলে যাদবপুর বাদে রাজ্যের বাকী সরকারী কলেজ গুলির মায়া ত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়!
এছাড়া VIT Engineering Entrance Exam (VITEEE), SRM Joint Engineering Entrance Exam (SRMJEEE) হয় তাদের নিজেদের ইন্সটিটিউশনের জন্য।
তবে অনেক বেসরকারিতে আবার টাকাটাই ভর্তির এলিজিবিলিটি!
সাব্জেক্টের থেকেও ইন্সটিটিউশনই বেশি গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে। তাই আবেগের বশে চারবছর বাপ-মায়ের টাকা ধ্বংস করে কলার তুলে মিথ্যে গরিমার জন্য ভুলভাল কলেজে ভর্তি হয়ে ইঞ্জিনিয়ার না হয়ে উনাদের সুরে সুর মিলিয়ে চপ/পকোড়া ভাজাই শ্রেয়।
পড়ার ও খাটার ইচ্ছে ও এলেম থাকলে #কেমিকেল_ইঞ্জিনিয়ারিং অসাধারণ একটা স্ট্রিম। এদের জন্য কম টাকার চাকরী নেই কিন্তু!
কম্পিউটারের আবেগ বা ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সিভিলের সেই জমাটি ভাব থেকে বেরিয়ে মাইনিং নিয়ে পড়লে দারুণ সুযোগ থাকে কিন্তু।তবে যে যাইই স্ট্রিম নিক না কেন সরকারী(PSC,UPSC-IES) বা PSU-এর চাকরী পেতে গেলে যথাক্রমে লিখিত পরীক্ষা ও GATE অবশ্যই চাই!
এছাড়াও Indian Maritime University তে প্রবেশিকা পরীক্ষার দ্বারা B.Sc (Nautical Science) পড়ানো হয়।
এক্ষেত্রে যেসব প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় সেগুলো হ’ল-
JEE Advanced AAT(IIT -র জন্য)
COMEDK UGET.
Joint Entrance Examination (Main) Paper II.
National Aptitude Test in Architecture (NATA)
Sathyabama University Entrance Exam.
AMU B.Arch Exam.
এছাড়া বিভিন্ন রাজ্য আলাদা করেও নেয়,যেমন WBJEEB.
ডিয়ার মেশোমশাই ও মাসিমা,মারবেন না প্লিজ! আমি জানি মাধ্যমিকই এর যোগ্যতা, তবুও উচ্চমাধ্যমিকের সায়েন্স পড়ে এটা পড়তে গেলে একদিকে যেমন সরকারীতে চান্স পাওয়া সহজ হয়, ঠিক তেমনি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরীক্ষা ও তার ইন্টার্ভিউতে ওই মাধ্যমিক পাশ করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের থেকে কিছুটা সুবিধা অবশ্যই পাওয়াই যায়!
তবে JEE তে যার দক্ষতা একটু কেমন কেমন করে তাকে অবশ্যই টুয়েলভে জেক্সপোর ফর্ম পূরণ করা ও পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেবো। ওইসব বেসরকারি ব্যাঙের ছাতার বিটেকের থেকে সরকারি ডিপ্লোমা অনেক উপাদেয়!
Diploma in-
Foreign Language
Fire Safety
Journalism
Home Science
Tourism
Hotel Management
Rural development
Fashie,Interio & Jewelry Designing
Film Making including –
(Direction, Screen Writing, Cinematography,Sound designing, Editing,Action)
Finance,Event & Hotel Management.
DLMT
Diploma in Nautical Science (DNS)(by Indian Maritime University Common Entrance Test)
Diploma in Veterinary Pharmacy ( D.V.p)
৫.চাকরী:
LDC, CGL-HS level, গ্রুপ-ডি,অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট, মাইনিং মজদুর, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর প্রভৃতি চাকরী ছাড়াও সেনাবাহিনীতে র্যালির মাধ্যমে অনেক চাকরীর সম্ভাবনা আছে।
আবার এয়ারফোর্সের গ্ল্যামারাস চাকরীর সাথে সাথে NDA/NA যেন এক দুরন্ত হাতছানি। আবার Indian Navy- B.Tech Entry Scheme বা Indian Army Technical Entry Scheme(TES), Indian Navy Sailors Recruitment সবকিছুই এই উচ্চমাধ্যমিকের পরেই হয়।
ট্রেনিং, স্টাইপেন্ড আর শেষে চাকরী। পুরো কেরিয়ারের ত্রিভুজ।
কোস্টগার্ড, RPF,CISF,BSF,CRPF-এ উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতার অনেক পোস্ট থাকে।
ফিশারি সায়েন্স নিয়ে পড়লে দারুণ সুযোগ অপেক্ষা করে আছে কিন্তু।
গ্র্যাজুয়েশনের তিন বছরের জন্য মাসিক ৫০০০ ও বার্ষিক ২০০০০ contingency হিসেবে আর মাস্টার্সের দু’বছর মাসিক ৭০০০ ও বার্ষিক ২৮০০০ contingency হিসেবে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
পরীক্ষাটি তিনটি স্তরে হয়। SA (Class 11), SX (Class 12), and SB (First year BSc). স্তরের এলিজিবিলিটি অনুযায়ী পরীক্ষা দেওয়া যায়।
KVPY তে সফল হলে পড়াটা হয়তো উচ্চমাধ্যমিকের পর কিন্তু এর জন্য প্রস্তুতি মাধ্যমিকের পরই নিতে হয়। কারন পরীক্ষা তিনবার হলেও ইলেভেনের পরীক্ষাটি নভেম্বরের শুরুতে হওয়ার জন্য এবং কিছু টুয়েলভের চ্যাপ্টার থাকার কারনে মাধ্যমিকের পরপরই প্রিপ্রারেশন শুরু না করলে সিলেবাস ভালোভাবে শেষ করা কঠিন হয়ে যায়। পরীক্ষায় কিন্তু বায়োলজির প্রশ্ন থাকে যদিও তার জন্য উচ্চমাধ্যমিকে বায়োলজি রাখার বাধ্যবাধকতা নেই!
মাধ্যমিকে ৭৫% নম্বর না থাকলে অসংরক্ষিতরা এই পরীক্ষার SA/SX স্তরে বসতে পারে না। লিখিত পরীক্ষার ৭৫% ও ইন্টার্ভিউ -এর ২৫% যোগ করে ফাইনাল মেরিট লিস্ট তৈরি করা হয়।
KVPY -এর জন্য #Resonance এর স্টাডি মেটারিয়াল দুর্দান্ত।
৮.SCRA(Special Class Railway Apprentice):
৬০০ নম্বরের পরীক্ষাতে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ ছাড়াও জেনারেল নলেজ, ইংরেজি ও সাইকোলজিক্যাল টেস্ট থাকে।
৯. Stat&B_Math:
B.Stat আর B.Math -এর ক্ষেত্রে আমি ISI কে “অন্যতম” সেরা বলেছি কিন্তু সেরা বলিনি যার জন্য সে হ’ল CMI বা Chennai Mathematical Institute। হ্যাঁ,ভারতে ম্যাথের সেরা ঠিকানা এটাই।
যদিও এখানে পড়ানোর কোর্সগুলি একটু আলাদা-
BSc (Hons) in Mathematics and Computer Science
BSc (Hons) in Mathematics and Physics
এছাড়া KVPY দিয়ে IISER,IISC; JEE-Advanced বা IISER -এর নিজস্ব প্রবেশিকা দিয়েও IISER এ B.Stat বা B.Math পড়া যায়।
ISI/CMI-এর প্রবেশিকার কোচিং এর জন্য বনহুগলির রামানুজন একটি অগ্রগণ্য কোচিং সেন্টার।
১০.শিক্ষকতার_সোপান :
উচ্চমাধ্যমিকে ৫০% নম্বর থাকলে D.El.Ed বা D.El.Ed in Special Education কোর্সটি করলে প্রাইমারী বা আপার প্রাইমারীর জন্য যোগ্যতামানে পৌঁছানো যায়। যদিও পশ্চিমবঙ্গের হ-য-ব-র-ল ছাড়া সেন্ট্রাল বা বাকী রাজ্যে যথাক্রমে CTET ও STET মাস্ট। তবে KVS সহ অনেক জায়গাতেই কিন্তু D.El.Ed in Special Education কে মান্যতা দেয়না! ভর্তি সাধারণ নম্বর অনুযায়ী হয় সরকারী(DIET) বা সরকারপোষিত কলেজগুলিতে। আর বেসরকারি ক্ষেত্রে বাবা-মার প্যাকেট থুড়ি পকেট দেখে!
আবার উচ্চমাধ্যমিকের পরই আপনি কিন্তু #TGT-র আবহে ঢুকে যেতে পারেন। চারবছরের বি.এড থুড়ি ইন্টিগ্রেটেড বি.এড শুনে অনেকেই ভুল বুঝে NCTE -এর মুন্ডপাত করে আঁউচ করে উঠেছিলেন না! এটা সেটাই গো সেটা! তবে বাইরের রাজ্যে সরকারী বা বেসরকারি কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে অনেকদিন ধরেই আছে এই BA+B.Ed বা B.Sc+B.Ed এই ডুয়েল ডিগ্রী। সবচেয়ে সেরা জায়গা বোধহয় RIE বা Regional Institute of Education. আমাদের জোনের জন্য ভুবনেশ্বর RIE.টোটাল চার বছরের কোর্স। অর্থাৎ, B.Ed টা কিন্তু এফেক্টিভলি ১ বছরের!